মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার এক শ’ কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে নিকারাগুয়ার সহস্রাধিক কর্মকর্তার ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলো।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক ও নিকারাগুয়ার স্থানীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বহুদিন ধরে প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার প্রশাসনের বিরুদ্ধে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সংবাদমাধ্যম, ব্যবসায়ী নেতা এবং ক্যাথলিক চার্চের যাজকদের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগ জানিয়ে আসছে। সেসব অভিযোগ আমলে নিয়েই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন ব্লিনকেন।
এর আগে নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ওর্তেগার স্ত্রী রোসারিও মুরিলো, তাদের তিন সন্তান এবং সরকারি প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর ভিসা বিধিনিষেধ জারি করেছিল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এবার যে ১০০ কর্মকর্তাকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে তাদের অধিকাংশই ওর্তেগা প্রশাসনের মাঝারি পর্যায়ের কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন স্বৈরশাসক অ্যানাসতাসিয়া সোমোজা দিবায়েলের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটিয়ে নিকারাগুয়ার ক্ষমতা দখল করে বামপন্থী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী সান্দিনিস্তা গেরিলা মুভমেন্ট। ওই অভ্যুত্থানে সান্দিনিস্তা গেরিলা মুভমেন্টের নেতৃত্বে ছিলেন ড্যানিয়েল ওর্তেগা। ৪৪ বছরের বিভিন্ন সময় ক্ষমতার কেন্দ্রে ও বাইরে ছিলেন তিনি। ২০২১ সালের ৭ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো দেশটির রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন ওর্তেগা। ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ছিল।
নির্বাচনের আগে ১২ জুলাই নিকারাগুয়ার সরকার এবং বিচার বিভাগের এক শ’ ব্যক্তির ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
২০২১ সালে ড্যানিয়েল ওর্তেগা বিজয়ী হওয়ার আগে বিরোধী দলের কয়েকজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।