যেভাবেই হোক সংবিধান অনুযায়ী, আগামী জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে। ওই নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ দল না পাঠালেও আরো অনেক দেশ আছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোকে (আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা) আমন্ত্রণ জানাবে নির্বাচন কমিশন। যেভাবেই হোক সংবিধান অনুযায়ী জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। সেটি না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে। এতে দেশে একটা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সেটা তো নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।
মো: আলমগীর বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী যে কোনো দেশের যে কোনো সংস্থা আবেদন করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ফেম্বোসার সদস্যদের দেশ বিশেষ করে আমাদের আশপাশের যেসব দেশ আছে তাদের আমরা ইনভাইট করি। আমরা শিগগিরই তাদের ইনভাইট জানাব। সার্কভুক্ত দেশগুলো আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী মাসে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো একটি সংস্থা। পৃথিবীতে তো আরো অনেক দেশ আছে। এশিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় অনেক দেশ আছে, সার্কভুক্ত দেশ আছে। এসব দেশ থেকে আসতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলেছে পূর্ণাঙ্গ না, ছোট পরিসরে আসতে পারে। পরবর্তীতে হয়তো তারা মনেও করতে পারে বড় পরিসরে আসব। এটা তো চূড়ান্ত কোনো কথা না।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমেরিকা আসবে না সেটা তো বলেনি। আমেরিকা আসলে আমরা তো খুশি। আমরা তো বলেছি সবাই আসেন। যেসব যোগ্যতার প্রয়োজন, যেসব শর্ত আছে সেগুলো পূরণ করলে সবাই আসতে পারবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সঙ্কট আছে। নির্বাচন চায় না এমনটা কেউ বলছে না। আমাদের নিবন্ধিত যে রাজনৈতিক দল আছে কোনো দলই নির্বাচন চায় না এটা বলেনি। আমরা কেন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব না।