অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর বিচারক মারুফ আল্লাম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে মামলার অপর দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আবু সাঈদ চাঁদ, আলিম উদ্দিন ও ওয়াজনবী নামে তিনজন ২০০৪ সালে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বামনদীঘি চরঝিকড়া টেকনিক্যাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তাদের মধ্যে আবু সাঈদ চাঁদ প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হন। আর প্রধান শিক্ষক হন আলিম উদ্দিন।
এরপর ২০০৭ সালে মাসুদ রানা নামে এক চাকরিপ্রার্থী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, স্কুলে নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে কয়েকজনের কাছ থেকে ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন আসামিরা। মাসুদ রানাকে নিয়োগ দেয়া হলেও কোনো বেতন হয়নি। তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন স্কুলটির কোনো অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও আসামিরা জেনেশুনে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেছেন এবং এভাবে কয়েকজনের কাছ থেকে ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
ওই সময় চারঘাটের শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ। প্রধানমন্ত্রীকে ‘হত্যার হুমকি’ দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনি কয়েক মাস ধরেই কারাগারে রয়েছেন। তবে প্রতারণার মামলার রায় ঘোষণাকালে তাকে আদালতে আনা হয়েছিল। পরে আবার তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী শামসাদ বেগম মিতালী গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত আবু সাঈদ চাঁদকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। আর অপর দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। তবে তিনি জানান, এ মামলার সাথে আবু সাঈদ চাঁদ কোনোভাবেই জড়িত নন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন।