পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে গাজীপুর জেলার শিল্প নগরীর খ্যাত টঙ্গীতে জশনে জুলুশ মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশ গাজীপুর জেলা শাখা এ জশনে জুলুস মিলাদের আয়োজন করে। এতে শত শত মানুষ অংশ গ্রহন করে।
শুক্রবার (২২সেপ্টেম্বর ) গাজীপুর মহানগরের শিল্পাঞ্চল খ্যাত মিলগেট এলাকার নিউ মুন্নু শাহী মসজিদ থেকে জশনে জুলুস মিলাদ শুরু হয়। এটি ঢাকা ময়মনসিংহ রোড প্রদক্ষিণ করে টঙ্গী প্রেসক্লাব চেরাগ আলী হয়ে দক্ষিণ আউচপাড়া নেদায়ে ইসলাম বেপারী বাড়ি জামে মসজিদের শেষ হয়।
জশনে জুলুস মিলাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ঢাকা বিভাগের সভাপতি মাহমুদ কাদেরী আত্তারী, এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলার শাখার সভাপতি উজ্জ্বল আত্তারী, টঙ্গী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো কালিমুল্লাহ ইকবাল, সদস্য সচিব আল আমিন আত্তারী সদস্য সোহেল আত্তারী, নাঈম আত্তারী প্রমুখ।
জশনে জুলুসে অংশগ্রহণকারীরা কলেমা খচিত পতাকা, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন বহন করেন। জশনে জুলুসে ‘ইয়া নবী ছালামু আলাইকা’, ‘ইয়া রাসূল ছালামু আলাইকা’ কাসিদা গজলে
অংশগ্রহণকারীরা নারায়ে তকবিরসহ নানান স্লোগানে স্লোগানে টঙ্গীর রাজপথ মুখরিত করে তোলেন।
দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশ সারা দেশে পহেলা রবিউল আউয়াল থেকে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জুলুস করে আসছে।
‘জশনে জুলুস’ হচ্ছে আরবি শব্দ। ‘জশন’ শব্দের অর্থ বাংলায় দাঁড়ায় আনন্দোৎসব; ‘জুলুস’ অর্থ উপবেশন, একত্র হওয়া বা সামাজিক সমাবেশ বা শোভাযাত্রা।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) শুভাগমনকে স্মরণ করে খুশি উদযাপন ও শুকরিয়া আদায়ের জন্য হামদ-নাত, জিকির ও দরূদ সালামের সঙ্গে শোভাযাত্রাকে জশনে জুলুস বলা হয়।
আরবি ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’র শাব্দিক অর্থ- মহানবীর (সা.) জন্মদিনের আনন্দোৎসব। মুসলমানরা ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী হয়রত মুহম্মদ (সা.) এর জন্ম ও মৃত্যু (ওফাত) দিবস হিসেবে পালন করে। কারণ এ দিনেই রাসুলে করীম (সা.) ইন্তেকালও করেন।