সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের আজকের কার্যধারা অনুযায়ী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রস্তাবিত আইনটি সংসদে উত্থাপন করেন। পরে কণ্ঠ ভোটে এ বিলটি পাস হয়। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর তিনি সাইবার নিরাপত্তা বিল জাতীয় সংসদে পেশ করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পরে সংসদের কার্যপ্রণালীবিধি অনুযায়ী, অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। স্থায়ী কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে তাদের প্রতিবেদন সংসদে জমা দেয়।
সরকার গত ৭ আগস্ট জানায়, তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘রূপান্তর’ এবং আধুনিকায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার নাম হবে সাইবার নিরাপত্তা আইন। যেখানে বিদ্যমান আইনের কিছু ধারা সংশোধন করা হবে। গত ২৮ আগস্ট মন্ত্রিসভা সিএসএর চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদন করে।
বিলটির ৩৪ ধারায় কিছু শব্দগত পরিবর্তন ও মিথ্যা মামলাজনিত শাস্তির বিধানাবলী আনা হয়েছে। এখানে কমিটি পরিস্কার করে বলেছে, (১) যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোনো ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জানিয়েও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে সেটি হবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন উক্ত ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রয়েছে সেই দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
কোনো ব্যক্তি যদি উপধারা (১)-এর অধীন এই আইনের একাধিক ধারায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহলে উক্ত ধারায় বর্ণিত অপরাধের মধ্যে মূল অপরাধের জন্য যার দণ্ডের পরিমাণ বেশি হয় সেই দণ্ডের পরিমাণ হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে। (৩) কোনো ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল উপধারা (১)-এর অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করতে পারবে।