একটি রান আউট ছাড়া সব কয়টি উইকেট নিয়েছেন তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। উইকেট দিয়ে বোলিং বিশ্লেষণ করলে শ্রীলংকার বিপক্ষে সুপার ফোরের এই ম্যাচে বাংলাদেশের স্পিনারদের প্রতি একটু অবিচারই করা হয়। কারণ, নাসুম আহমেদ, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের কৃপণ বোলিংয়েই ২৫৭ রানে লংকানদের আটকে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের জন্য ডু অর ডাই এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান করেছে শ্রীলংকা। এর মধ্যে একটি রান আউট ছাড়া হাসান ৩টি, তাসকিন ৩টি ও শরিফুল নেন ২টি উইকেট। তবে তাদের সবার ইকোনমিই ছিল ছয় কিংবা তার বেশি। আর ১০ ওভার করা নাসুম মাত্র ৩১ রান দিয়েছেন ১ মেডেনসহ। সমান ওভার করে সাকিব দিয়েছেন ৪৪ রান। আর ৩ ওভারে মিরাজ দিয়েছেন ১৪ রান।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে লংকানদের প্রথম উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। তবে ৩৪ রানে প্রথম ব্যাটার হিসেবে দিমুথ করুনারত্নের ফেরার পর উইকেটে জমে গিয়েছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। এই জুটিতে ৭৪ রান আসার পর অবশেষে সেটি ভাঙে পেসার শরিফুল ইসলামের আঘাতে। ১০৮ রানে নিশাঙ্কাকে (৪০) ফেরানোর পর ১১৭ রানে ফেরান মেন্ডিসকেও (৫০)।
শ্রীলংকা তাদের চতুর্থ উইকেট হারায় ১৪৪ রানের মাথায়। তাসকিনের বলে সাকিবের হাতে ক্যাচ উঠিয়ে দেন আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা চারিথ আসালঙ্কা। দলের সঙ্গে আর ২০ রান যোগ হতে ফেরেন ধনাঞ্জায়া ডি সিলভাও। হাসানের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
ষষ্ঠ উইকেটে ৬০ রান যোগ করেন দারুণ ব্যাট করতে থাকা সামারাবিক্রামা এবং অধিনায়ক দাসুন শানাকা। শানাকাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হাসান। তবে শানাকা ফেরার পর আরও দুই উইকেট হারালেও বিধ্বংসী ব্যাট চালিয়ে যান সামারাবিক্রামা। এক পর্যায়ে জাগিয়েছিলেন সেঞ্চুরি সম্ভাবনাও। শেষ পর্যন্ত মাইলফলকের দেখা না পেলেও ৯৩ রান করে দলকে নিয়ে যান ২৫৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহে।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফাইনালে যেতে হলে বাংলাদেশকে এ ম্যাচে জিততেই হবে। কেননা সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল দলটি। বাংলাদেশ একাদশে একটি পরিবর্তন হয়েছে। দলে আফিফ হোসেনের জায়গায় স্পিনার নাসুম আহমেদকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। শ্রীলংকা দলে কোনো পরিবর্তন নেই। গ্রুপপর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের একাদশ নিয়েই নামছে স্বাগতিকেরা।