বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ঢাকায় সফররত রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি হোটেলে বৈঠকে বসেন তারা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘রাশিয়া আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করছে। আজকে এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা অনেক ইস্যু তুলে এনেছি। আমাদের ইস্যু ছিল, আমাদের রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্ট। আপনারা জেনে খুশি হবে যে এটি মোটামুটি অনটাইম শেষ হবে। আমাদের ইস্যু ছিল রোহিঙ্গা, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা (রাশিয়া) আমাদের সঙ্গে একাত্ম যে তাদের (রোহিঙ্গাদের) দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। এইভাবে আমরা তাদের সহায়তা চেয়েছি।’
ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়ানোর জন্য কথা বলেছি। আমাদের জন্য অনেক স্কোপ আসছে- ১০০টি ইকোনোমিক জোন, ২৯টি হাইটেক পার্ক- এইগুলোর অ্যাডভান্টেজ যাতে নিতে পারে সে জন্য আমরা অনুরোধ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের বলেছে, তাদের দেশ থেকে আমরা এলএনজি আনতে পারি। তারা আমাদের প্রস্তাব করেছে যে তারা দেশ থেকে আমরা ক্লোরাইড আনতে পারি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই ইউক্রেন ওয়ারের কারণে এই ব্যবসা-বাণিজ্যের যে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে- সেটি তুলে ধরেছি। আর আমরা বলেছি তাদের দেশে একটি ইকোনোমিক কমিশন আছে এশিয়ান ইকোনোমিক কমিশন সেটাতে তাদের পারটিসিপেন্ট চাই। তারা বলেছে, সেটা নিতে হলে বাকি রাষ্ট্রের যে সব সদস্য বিশেষ করে তাজাকিস্তান, তাদের পারমিশন লাগবে। সবাই মিলে ডিশিসন…।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ঢাকায় সফররত রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যে বৈঠক
তিনি বলেন, ‘তো আমাদের দেশের যেগুলো বাইলিটারাল ইস্যু সেগুলো উনার (লাভরভ) কাছে তুলে ধরেছি এবং হি ওয়াজ ভেরি সিমপিথেটিক এবং বলেছেন এইগুলো ব্যাপারে দৃষ্টি দেবেন।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। বিমানবন্দরে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন আগামী শুক্রবার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর তিনি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা করবেন লাভরভ।