ঢাকা: ড্যান্ডি ডাইং কোম্পানির ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপি মামলায় আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জবাব দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া। বাকি বিবাদীদের জবাব দাখিলের জন্য আগামী ৩০ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালত। ব্যর্থতায় ওইদিন মামলায় ইস্যু গঠন করা হবে।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকালে খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে জবাব দেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান। এদিকে মামলার ১১ নম্বর বিবাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে জবাব দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন জানান ড্যান্ডি ডাইংয়ের পরিচালক কাজী গালিব আব্দুস সাত্তার। পরে তারসহ অন্য বিবাদীদের জবাব দাখিল ব্যর্থতায় ইস্যু গঠনের দিন ধার্য করেন আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস।
অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান খালেদার পক্ষে জবাব দাখিল করে বলেন, ঋণ নিয়েছে ড্যান্ডি ডাইং কোম্পানি। কোনো ব্যক্তি ঋণ নেননি। ঋণের সকল দলিলপত্রে প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের স্বাক্ষর রয়েছে। এখানে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। কোকো মারা যাওয়ার পর এখানে খালেদা জিয়ার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা থাকার কথাও নয়।
মামলার বিবাদীরা হলেন- ড্যান্ডি ডায়িং কোম্পানি লিমিটেড, প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমান, প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর মা খালেদা জিয়া, স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও তার দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, প্রয়াত মোজাফফর আহমেদের স্ত্রী শামসুন নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসান।
আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ায় তার মা খালেদা জিয়া, স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও তার দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান বিবাদী হয়েছেন। অন্যদিকে ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফফর আহমেদ মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে এ মামলায় বিবাদীভুক্ত করা হয়।
গত বছরের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন।
ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করেন।
২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করেন। এরপর ঋণ পুনঃতফসিলিকরণও করা হয়।
কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বরাবর কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি।