লাহোরের পিচ ব্যাটিংস্বর্গ, বোলারদের জন্য আহামরি কিছুই নেই। এই মাঠেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৩৩৪ রান করেছিল বাংলাদেশ। তাইতো টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিতে ভাবেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে, ব্যাট হাতে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। হারিস রউফ-নাসিম শাহদের গতির সামনে দাঁড়াতে পারেননি কেউ। তাতে ১৯৩ রানেই অলআউট, যা ৬৩ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।
সুপার ফোরের প্রথম এই ম্যাচে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নাসিম শাহর বলে শূন্য রানে ফেরেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মেহেদী হাসান মিরাজ। আর পঞ্চম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ব্যক্তিগত ১৬ রানে আউট হন এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা লিটন দাস। পাকিস্তানের বোলিং স্পেল শাহীন ও নাসিম শুরু করলেও অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে আসেন গতিময় পেসার হারিস রউফ। এসেই তোপ দাগেন বাংলাদেশ শিবিরে। দারুণ খেলতে থাকা মোহাম্মদ নাঈমকে কট এন্ড বল করেন হারিস। দশম ওভারে হারিসের করা ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে আবারও বাংলাদেশের উইকেট পতন। এবার তাওহীদ হৃদয়কে সরাসরি বোল্ড করেন তিনি। ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যাওয়া দলকে এরপর টেনে তোলেন সাকিব-মুশফিক। দুজনে মিলে কাটায় কাটায় ১০০ রানের জুটি গড়েন।
১৪৭ রানে সাকিবের পতনের পর (৫৩) পর শামীম পাটোয়ারিকে নিয়ে ২৭ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। ১৭৪ রানের শামীমের পতনের পর শুরু হয় মড়ক। ১৯ রান তুলতেই হারায় শেষ ৫ উইকেট। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে।
৬ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন হারিস। ৫ ওভার ৪ বল করে নাসিমের উইকেট সংখ্যা ৩টি। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহীন, ইফতিখার আহমেদ এবং ফাহিম আশরাফ।
ছোট লক্ষ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রথম সাফল্য দেখে দশম ওভারে। শরিফুলের করা ব্যক্তিগত পঞ্চম ওভারের প্রথম ওই বলে ফ্লিক করতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ হন ফখর জামান। দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২০ রান করে ধরেন প্যাভিলিয়নের পথ। ফখরের বিদায়ের পর বাবর আজমকে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়েন ইমাম। ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে ৭৪ রানের মাথায় তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হন বাবর। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই উইকেট পেতে পারতেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বলে ইমামকে আম্পায়ার এলবিডাব্লিউ দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। এরপর জুটি গড়েন ইমাম ও রিজওয়ান। এই দুজনের জুটিতে আসে ৮৫ রান।
১৫৯ রানের মাথায় ইমাম যখন ফেরেন তখন জয়ের অনেক কাছে পাকিস্তান। ৭৮ রান করার পথে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান ইমাম। তবে শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান (৬৩*)।