দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমানকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ক্যান্সারের রোগী বিবেচনায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে জামিন দেন। এ আদেশের ফলে সাবেরা আমানের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে সাবেরা আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাদের সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব ও ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
গত ৩ সেপ্টেম্বর সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমানকে কারাগারে পাঠান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১।
গত ৭ আগস্ট হাইকোর্ট দুর্নীতির মামলায় আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের দণ্ড বহাল রেখে রায় প্রকাশ করেন। বিচারিক আদালতে রায় পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী আদালতে আত্মসমর্পণের আপিল করেন সাবেরা আমান। পাশাপাশি জামিন চান তিনি।
গত ৩০ মে দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের সাজাও বহাল রাখেন আদালত। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
গত ১৪ মে দুর্নীতির মামলায় বিএনপির নেতা আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আপিলের পুনঃশুনানি শেষ হয়।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।