১৬ বছর পর রোববার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে খেলতে নামে বাংলাদেশ। তবুও এমন এক ম্যাচ, যেখানে জিততেই হতো টাইগারদের। হারলেই শেষ এশিয়া কাপ, ধরতে হতো বাড়ির বিমান। ছিলো নানান সমীকরণের মারপ্যাঁচ। তবে সব শঙ্কা দূর করে টাইগাররা পা রেখেছে সুপার ফোরে। সেই সাথে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের অনার্স বোর্ডেও তুলেছে নাম!
প্রতিপক্ষ আবার আফগানিস্তান, এখনো জিহবায় লেগে রয়েছে যাদের বিপক্ষে দেশের মাটিতেই সিরিজ হারের তিক্ত স্বাদ! এমন বাঁচা-মরা ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান তুলে স্কোরবোর্ডে। যা নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসেরই তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এমন সমৃদ্ধ সংগ্রহ পেতে জোড়া শতক হাঁকান মেহেদী মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
তাদের বদৌলতে পঞ্চমবার একই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি দেখলো দেশের ক্রিকেট। দুজনে মিলে গড়েন নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ ২১৫ রানের জুটি। জুটি গড়েই নাম লেখান পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের অনার্স বোর্ডে। এর আগে একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে এই কীর্তি ছিল কেবল মোহাম্মদ আশরাফুলের।
ইংল্যান্ডের লর্ডসের মতোই গাদ্দাফিতেও মাইলফলকগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখা হয় অনার্স-বোর্ডে। সেই রীতিতেই নিজেদের শামিল হলেন বাংলাদেশের এই দুই ক্রিকেটার। মিরাজ ১১২ ও শান্ত ১০৪ রানের ইনিংস খেলে গাদ্দাফি’র অনার্স বোর্ডে নিজেদের নাম লিখেছেন।