রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে আগামি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বাগড়া এলাকায় অবস্থিত জামিয়া কারীমিয়া মাদরাসার সভাকক্ষে আয়োজিত দলের তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই দাবি জানান।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দেশে কোনো সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় দাবি করে চরমোনাই পীর আরো বলেন, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত কল্যাণ রাস্ট্র গঠন করা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হলেও কাঙ্খিত সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। বরং আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী শাসনের কারণে আজ দেশ নাজুক পরিস্থিতির সম্মুখিন। ক্ষমতাসীনরা সন্ত্রাস আর লুটপাটে ব্যস্ত। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। ফলে ব্যাংক খাত দেউলিয়া হওয়ার পথে।
মুফতি রেজাউল করিম বলেন, ১৯৯৬সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তৎকালিন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে ১৭৩ দিন হরতাল-অবরোধ করে দেশকে অচল করে দিয়েছিলেন। অথচ সংবিধানের দোহাই দিয়ে দেশকে ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। মনে রাখা উচিৎ মানুষের কল্যাণের জন্য সংবিধান, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়। কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন তার জ্বলন্ত প্রমাণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে দলটির স্থানীয় উপজেলা শাখার উদ্যোগে এই তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শেরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোকাল্লেম হোসাইন ওসমানীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, বগুড়া জেলা শাখার উপদেষ্টা ইউনুছ আলী, জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আ ন ম মামুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শফিকুল ইসলাম শফিক, সহ-সাধারণ প্রভাষক মীর মো: মাহমুদুর রহমান চুন্নু।
এছাড়া অন্যদের মধ্যে শেরপুর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি সোলাইমান আলী, আলহাজ ইমরান কামাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী যুব আন্দোলন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।