সিন্ডিকেট আছে, ভাঙব বলিনি : বাণিজ্যমন্ত্রী

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


‘বাজারে সিন্ডিকেট আছে, সিন্ডিকেট ভাঙব’ বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তিনি কেন এ কথা বলেছেন, তাকে আমি ধরব।

এই ব্ক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সিন্ডিকেট আছে, সিন্ডিকেট ভাঙব- এ ধরনের কথা বলিনি।

বুধবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর একটি হোটেলে সফররত ‌‘ইউএস- বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’ এর উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের সাথে সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন,‌ কি মিন‌ (বোঝাতে) করেছেন সেটা তিনি ভালো জানেন। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। বাজারে সিন্ডিকেট আছে, ভাঙা হবে এ ধরনের কোনো কথা আমি কোথাও বলিনি।

তিনি বলেন,‌ গতকাল সংবাদ সম্মেলনের পর প্রধানমন্ত্রীর সাথে দুই ঘণ্টা ছিলাম, আমেরিকান চেম্বার্সের প্রতিনিধিরাও‌ ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার কোনো কথা হয়নি, তিনিও জিজ্ঞেস করেননি।

সিন্ডিকেটের বিষয়ে হাত দেয়া যাবে না- এ প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন, আপনি কি এটাকে ডিফেন্ড করবেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না কী অবস্থানে কথাটা বলেছেন।’

তিনি বলেন, আমি বলেছি যে আমাদের যখন জিসিনপত্রের দাম বাড়ে তখন আমরা চেষ্টা করি যে, ন্যায্য দামে বিক্রি বিক্রি হওয়া উচিত। সেটা আমাদের ভোক্তা অধিকার দিয়ে চেষ্টা করি। কখনো কখনো আমাদের লোকবল কম হওয়ার কারণে কিছুটা শ্লথ হয়। আমি এ কথাটাই বলেছি।

আপনি বলেছিলেন, যখন ক্রাইসিস শুরু হয় তখন ব্যবসায়ীরা সুবিধা নিলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আরো বেশি ক্রাইসিস তৈরি হতে পারে, সে কারণে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদেও আপনি এটি বলেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‌‘আমি যে কথাটা বলেছিলাম, জেল-জুলুম এ ধরনের ব্যবস্থা নিলে পরে…। আমি সেটেল করছি আলোচনার মাধ্যমে, যেন এটা লজিক্যাল হয়। হঠাৎ করে জেল-জুলুম দিলে পরে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। আমি এটাই বলেছিলাম। তবে আলোচনা করে আমরা ব্যবস্থা নিতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার পর আমি বলেছিলাম প্রয়োজনে সরবরাহ ঠিক রাখতে ডিম আমদানি করা হবে। সে ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি সবসময়।’

বাজার কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না, আজকে একটা বাড়লে কালকে আরেকটার দাম বাড়ছে। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি অনেকটা এগিয়েছে, আমরা সে তুলনায় পিছিয়ে আছি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা আর আমাদের অবস্থাটা ভিন্ন। শ্রীলঙ্কার বড় যে আয় সেটা হলো পর্যটন খাত। সেটা তারা রিভাইভ করেছে বলে তারা উন্নতি করছে। পাশাপাশি ছোট দেশ, সেজন্য তারা উতরে গেছে। আমাদের তো বিশাল বড় একটা দেশ। আমাদের চেষ্টা চলছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের একটু কৃচ্ছ্র সাধন করতে হবে। আমাদের প্রতিনিয়ত চেষ্টা চলছে।’

তিনি বলেন, গ্লোবাল অবস্থাটা দেখেন, আপনারা যখন দেখেন ইংল্যান্ডের দোকানেও তিনটার বেশি টমেটো কেনা যাবে না, সে বিষয়ে রেস্ট্রিকশন দিয়ে দেয়। জার্মানিও দোকানগুলোতে তেলের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়। আমাদের এখানেও নিশ্চয়ই প্রভাব পড়েছে। মুহূর্তের মধ্যে সমাধান হবে তেমন তো নয়, তবে আমাদের প্রতিনিয়ত চেষ্টা চলছে। গ্লোবাল এই দুরবস্থার মধ্যেও যেন আমরা ঠিক থাকতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *