ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘আমরা শুধু ভাতই খাওয়াই না, অস্ত্রও উদ্ধার করি। যেখানেই ঘটনা ঘটুক, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে অপরাধীদের শনাক্ত করে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করি। অনেকেই মনে করতে পারেন, ডিবি কার্যালয় একটা ভাতের হোটেল। এতে আমরা ডিমরালাইজড বা হতাশ হবো না। এটা আমাদের মানবিক দিক।’
আজ সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হারুন অর রশীদ এ কথা বলেন।
ডিবির হারুন বলেন, ‘অনেক ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষ ডিবির কাছে আসে। তখন আমরা তাদের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করি। কিন্তু অনেক সময় সমস্যা সমাধানে সময় লেগে যায়। এ সময় আমাদের অফিসাররা মানবিকভাবে তাদের নাস্তা কিংবা ভাত খেতে বলেন। এটা আমাদের মানবিকতা।’
তিনি বলেন, ‘হারুন অর রশীদ আরও বলেন, আলামত যা-ই হোক না কেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে, অস্ত্র কারবারিরা যে দলেরই হোক না কেন, আমাদের ডিবি পুলিশের প্রতিটি টিম আইনগত প্রক্রিয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করতে তৎপর রয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে চাই।’
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্যটা রাজনৈতিক নয়। কে ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলের সেটি আমাদের মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হচ্ছে, সে অস্ত্র ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, অস্ত্র ভাড়া করে মানুষের জীবনকে শেষ করার কাজ করছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিন্তে আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় আমরা করবো।’
ছাত্রদল নেতাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘পুলিশকে দুর্বল মনে করে কোনো অস্ত্র কারবারি, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী বা সন্ত্রাসী ঢাকা শহরে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াবে আর আমাদের ডিবির টিম বসে থাকবে, তা হতে পারে না। আমাদের আইনগত প্রক্রিয়ায় যা যা করা দরকার আমরা তা করবো। ডিবি কাউকে ভয় পায় না।’
উল্লেখ্য, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ডিবি কার্যালয়ে মধ্যাহ্নভোজের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। এবার ছাত্রদল নেতাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সেই আলোচনা-সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।