ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নারীদের বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করে নিয়েছে স্পেন। রোববার (২০ আগস্ট) অস্ট্রেলিয়ার সিডনির মাঠে পৌনে এক লাখ দর্শকের উপস্থিতিতে ১-০ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী ফুটবল বিশ্বকাপের তকমা পেয়েছে স্পেন।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে ক্যাপ্টেন ওলগা কারমোনার গোলে স্পেন এগিয়ে যায়। এরপর ইংল্যান্ড মরিয়া চেষ্টা করে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেলেও সফল হতে পারেনি। তবে তারা স্পেনের একটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়াতেও দেয়নি।
প্রথমবার ফাইনালে এসে স্পেন শিরোপা ঘরে নিলেও ইংল্যান্ডকেও প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে এসেও শিরোপার কাছ থেকে ফিরে যেতে হলো।
দেশটি সর্বশেষ ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে নিয়েছিল ১৯৬৬ সালে, পুরুষদের বিশ্বকাপে। নারী দল এই বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠায় আবার শিরোপার আশা তৈরি করেছিল দেশটি।
স্পেন যখন এবারের বিশ্বকাপ শুরু করেছিল, তখনো কেউ ভাবেনি যে দলটি শেষ আটে খেলতে পারবে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে যায় স্পেন। এরপর শিরোপাও তাদের ঘরে গেল।
চলতি বছরের আগে নারীদের বিশ্বকাপে শুধু একটি খেলাতেই বিজয়ী হওয়ার ইতিহাস রয়েছে স্পেন দলের।
যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, জার্মানি, জাপানের পর পঞ্চম দল হিসেবে নারী বিশ্বকাপের শিরোপার দেখা পেল স্পেন।
পেনাল্টি পেয়েও গোল দিতে না পারায় ব্যবধানকে দ্বিগুণ করতে পারেনি স্পেন। হেনি হেরমোসেরা শট ধরে ফেলে আটকে দেন ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক মেরি ইয়ার্পস।
স্পেন হলো বিশ্বকাপ ফুটবলের একমাত্র দেশ, যারা নারী ও পুরুষ- উভয় বিশ্বকাপের শিরোপার দেখা পেয়েছে। ২০১০ সালের পুরুষ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে স্পেন শিরোপা জিতেছিল।
সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া বাদ পড়ে যাওয়ায় অনেকে ধারণা করেছিলেন যে স্টেডিয়ামে হয়তো তেমন দর্শক থাকবে না। কিন্তু ফাইনালে সিডনির স্টেডিয়ামে ৭৫ হাজারের বেশি দর্শক সমবেত হয়েছিলেন। তাদের অনেকেই স্পেন ও ইংল্যান্ডের পতাকা এবং রঙে সজ্জিত হয়ে আসে। পুরো সিডনি জুড়েই আমেজ ছড়িয়ে পড়েছিল।
সূত্র : বিবিসি