বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এরা (সরকার) নাকি পেনশন (সর্বজনীন পেনশন) ভাতা দিবে। আসলে এরা টাকা চুরি করার আরেকটা নতুন ফন্দি করছে। সেই টাকা চুরি করে ভোট করবে এরা।’
আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড় থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে সায়েদাবাদ ব্রিজ, ধলপুর কমিউনিটি সেন্টার, গোলাপবাগ, কমলাপুর, বৌদ্ধমন্দির হয়ে খিলগাঁওয়ে এসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক, ভোটের, কথা বলার, বাঁচার অধিকার দাও। তেল, ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম কমাও। এটাই আমাদের দাবি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজ সারা দেশকে এই আওয়ামী লীগ কারাগারে পরিণত করেছে। কেন আটক করে? বলেন তো, ভয়ে। ভয়ে আওয়ামী লীগের মুখ শুকিয়ে গেছে। শেখ হাসিনার এখন নতুন নতুন কাপড় পরা বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা যে টাকা পাচার করেছে তা নিয়ে চিন্তায় আছে। অবস্থা এখন আরও খারাপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশকে নিয়ে শুনানি দাবি করছে সে দেশের সংস্থাগুলো।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোনো দিকে পথ নেই, উত্তরে উচ্চাঙ্গ পর্বতমালা আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, কোনোদিকে ওদের যাওয়ার আর পথ নেই। আর কোনো সময় নাই। মানে এখনি পদত্যাগ কর। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাও, সংসদ বিলুপ্ত কর, নতুন নির্বাচন কমিশন করে সুষ্ঠু নির্বাচন এর ব্যাবস্থা কর।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘একটি কথাই বলা যায়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তার অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। আমাদের অধিকার গণতান্ত্রিক অধিকার আমাদের উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভারত যদি আবার ১৪ সালের মতো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চায়, চ্যালেঞ্জ এদেশের ১৮ কোটি জনগণ এবার ছাড়বে না।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন বলার চেষ্টা করে তারা ক্ষমতায় না থাকলে এক লাখ লোক মারা যাবে। কিন্তু দেশের মানুষ বলেছেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ১৮ কোটি মানুষ মারা যাবে।’
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সকালে মার্কিনদের গালি দেয় বিকেলে আবার ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পক্ষে তারাই আমাদের বন্ধু।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনের পরিচালনায় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারো বক্তব্য দেন। গণমিছিলে আরও উপস্থিত আছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, রকিবুল ইসলাম বকুল, লিটন মাহমুদ, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবকদলের রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।