বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজায় আসা লোকজনের ওপর লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এ সময় অন্তত ৩০ জন সাঈদী-বক্তকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। তবে জামায়াতের দাবি, পুলিশ কোনো উস্কানি ছাড়াই জানাজায় বাধা দিয়েছে এবং মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর মুসল্লিদের ৪-৫ শ’ জনের একটি বহর জামিয়াতুল ফালাহ থেকে আলমাস সিনেমা হলের সামনে গেলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে ফাঁকাগুলি ছোঁড়ে। এতে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে। পরে কাজীর দেউড়ি মোড়, ওয়াসার মোড়, জিইসি মোড় ও লালখান বাজারসহ নগরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অবস্থান নিয়ে পথচারী ও জানাজায় আসা লোকজনকে বেদম প্রহার করে। এ সময় অন্তত ৩০ জনকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জানাজার অনুমতি ছাড়া জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের আশপাশে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বিকেল থেকে জড়ো হতে থাকে। তারা অতর্কিত পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আমাদের পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে সেটা প্রতিরোধ করেছি। পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, জামায়াত-শিবিরের ৩০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে কোতোয়ালী থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এর আগে যে কোনো ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।