কলকাতা: কলকাতায় অপরিকল্পিত নগরায়নের বলি হলো এক শিশু। দুর্বল পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে একটু বৃষ্টিতেই বিভিন্ন রাস্তায় জমে হাঁটুপানি। আর সেই জমা পানিতে ডুবেই মারা গেলো ফুটপাতের বসবাসকারী পরিবারের এক শিশু।
শুক্রবার (১০ জুলাই) এ ঘটনার পর চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে কলকাতা পুরসভা। পরিকল্পনাহীন কাজ ও চরম অদক্ষতাকেই এ দুর্ঘটনার কারণ মনে করছে নগরবাসী।
ফুটপাতবাসী একটি পরিবারে কয়েক মাস বয়সী শিশু সন্তান নিখোঁজ হয়। বেশ কিছু ঘণ্টা পরে তার মরদেহ উদ্ধার হয় ওই রাস্তারই কিছুটা দূরে জমা পানিতে।
ভারতের অন্যতম ‘মেট্রো’ শহরের লজ্জার এখানেই শেষ নয়। উত্তর থেকে দক্ষিণ যে দিকেই চোখ গেছে সেদিকেই জমা পানি। পুকুর, রাস্তা, নিষ্কাশণ ব্যবস্থা সব একাকার বর্ষার পানিতে।
পানির কারণে মানুষ তীব্র যানজটের শিকার হতে হয় কলকাতাবাসীকে। তবে জমা পানিতে নাকাল মানুষকে সমস্যা মুক্তির বদলে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রথম দিন মিডিয়ায় জমা জলের ছবিকে ‘জাল ছবি’, দ্বিতীয় দিন তার ‘বাথরুম তত্ত্ব’ শুনিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছেন কলকাতার কোথাও পানি জমেনি।
কলকাতার পূর্ব প্রান্তের সল্টলেক অঞ্চলেও একই অবস্থা। যদিও এ অঞ্চলের দায়িত্ব বিধাননগর পুরসভার। এখানেই আছে বিশ্বের প্রথম সারির আইটি কোম্পানিগুলির দপ্তর।
সেই বহুজাতিক দপ্তরগুলির বাইরেও কোথাও হাঁটু জল আবার কোথাও বা জলের উচ্চতা কোমর ছুঁয়েছে। বিধাননগর পুরসভার ব্যর্থতা নিয়েও মুখ খুলেছে সাধারণ নাগরিকরা। অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলছেন আগামী কলকাতা পুরসভা ভোটের আগে হয়তো এলাকায় বর্ষাকালে ‘বোট’ পরিষেবার কথা বলে ভোট ভাইতে হবে রাজনৈতিক দল গুলিকে।