বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত নয়, এমন কথা যারা বলে ‘তারা ছদ্মবেশী শকুন’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। গতকাল সোমবার রাত ১০টায় ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধান থাকা অবস্থায় ইনডেমনিটি আইন করা, দেশের বাইরে হওয়া কমিশনকে তদন্ত করতে দিতে না আসতে দেওয়া, খুনি রশীদকে জার্মানিতে, ডালিমকে স্পেনে, নূর চৌধুরীকে কানাডা ও রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পুরস্কার দেওয়া… এরপরও কেউ যদি বলেন জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও সুবিধাভোগী নয় তাহলে আসলে বুঝতে হবে তারা ছদ্মবেশী শকুন।’
আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী। যার নেতৃত্বে, যার আহ্বানে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে এবং রক্তস্নাত পথ পাড়ি দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাঙালি, স্বাধীনতার সেই মহানায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আজকের এই দিনে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের বহু সম্ভাবনার অকালমৃত্যু ঘটে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পথ হারায় জাতি। কান্না আর শোকের সাগরে ভাসে বাঙালি। শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশের বিপরীত ধারার যাত্রা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।