মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় উপজেলার কর্মধায় জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলার’ সদস্য সন্দেহে আটক ১৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। আজ সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশি পাহারায় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ লাইনসে নেওয়া হয়েছে।
পরে সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তাদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন চিকিৎসক ও চায়নায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুজন ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন। তারা এক দিনে ঘর থেকে হিজরত করতে বের হয়নি।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, রাত গভীর হওয়ায় পাহাড়ের নির্জন স্থানে যাওয়া সম্ভব হবে না বিধায় আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে আটকদের নিয়ে পাহাড়ের ভেতরে তাদের সেই আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। কারণ পাহাড়ের ভেতরে নির্জন স্থানে কীভাবে আস্থানা করে তারা আত্মগোপনে ছিল এবং তাদের ভবিষ্যৎ মূল পরিকল্পনা কি ছিল সেটি তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি বলেন, ‘উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মুলে বাংলাদেশ পুলিশ সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। একদম নতুন একটি জঙ্গি সংগঠন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু গত ৭ আগস্ট ঢাকা থেকে ১০ জন, ১২ আগস্ট কুলাউড়া থেকে ১০ জন ও ১৪ আগস্ট স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আরও ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।’
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘জঙ্গি ও উগ্রবাদদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য পাওয়া সময় সাপেক্ষ বিষয়। তাদেরকে স্বল্প সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে আমাদের ধারণা, তাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে।’
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আছকরাবাদ সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে তাদের আটক করে স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা সিএনজিচালিত কয়েকটি অটোরিকশায় করে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এর আগে শনিবার সিটিটিসি কর্মধার পূর্ব টাট্রিউলি এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে জঙ্গি আস্তানা থেকে পালানো চিকিৎসক সোহেল তানজিমের স্ত্রীসহ ১০ জনকে আটক করা হয়। তাদের সঙ্গে তিনটি শিশুও ছিল।