অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের একটি মামলায় চার দলীয় জোটের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। তবে রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহাসচিব শাহ আলম চৌধুরীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক আক্তারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় রেদোয়ান আহমেদ পলাতক ছিলেন। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।
দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম রায়ের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম রমনা থানায় রেদোয়ান আহমেদ ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ হাট-বাজার থেকে প্রতি বছর যে টাকা মন্ত্রণালয় পায় তার চার ভাগ টাকা দুস্থ ও বেকার মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলকে দেওয়া হয়, যার পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা। এই টাকা জমা রাখার জন্য সোনালী ব্যাংক মগবাজার শাখায় একটি হিসাব রয়েছে।
২০০২ সালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রেদোয়ান আহমেদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থসচিব শাহ আলম এ অর্থের জিম্মাদার হিসেবে বহাল থাকাবস্থায় ওই হিসাব থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
মামলাটি তদন্তের পর ২০০৭ সালের ৮ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হোসেন তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের পর উচ্চ আদালতে যান রেদোয়ান আহমদ। ফলে দীর্ঘদিন মামলার বিচার বন্ধ হয়নি। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট এক আসাসিকে অব্যাহতি দিয়ে আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।