টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি বান্দরবানে দুর্ভোগ দীর্ঘয়িত হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় পাহাড় ধসের কারণে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলায় দুই শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের তাসলিমা সিদ্দিকা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সদর উপজেলায় ৪৬টি, লামায় ৫৫টি, নাইক্ষ্যংছড়িতে ৪৫টি, রুমায় ২১টি, রোয়াংছড়িতে ১৯টি, আলীকদমে ১৫টি, থানচিতে ৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরে তথ্য অনুযায়ী, রোববার বান্দরবানে ৩৪২ মিলিমিটার এবং সোমবার ২৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। তলিয়ে গেছে হাজারো ঘরবাড়ি। পানিবন্দি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে ঠাঁই নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে। বান্দরবানের বেশির ভাগ এলাকা টানা দুদিন ধরে বিদ্যুৎহীন। মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
লামার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, টানা বৃষ্টিতে সময় যত গড়াচ্ছে, পরিস্থিতি ততই খারাপ হচ্ছে। আলীকদম-লামা হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া পর্যন্ত সড়কে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ফলে ওইসব এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।