গঠনমূলক সমালোচনা সহ্য করতে পারে না সরকার: জি এম কাদের

Slider রাজনীতি

বর্তমান সরকার শুধু ইয়েস শুনতে চায়। তারা গঠনমূলক সমালোচনা সহ্য করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সালমা হোসেন এ্যাশ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জি এম কাদের। এ সময় সালমা হোসেন এ্যাশকে আভিনন্দন জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, সরকার চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ারসহ সকল পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্বে তাদের নিজেদের লোক নিয়োগ করতে চায়। সেজন্যই দেশের প্রকৃত সত্য বা বাস্তবতা বুঝতে পারে না। এতে দেশ ও মানুষের কল্যাণে বাঁধাগ্রস্থ হয়। পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্বে নিজস্ব লোক নিয়োগ করলে সরকারের উপকার হয় না, এটাও সরকার বুঝতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, পেশাজীবি সংগঠনগুলো করা হয় একটি উদ্দেশ্য থেকে। যেমন কখন কোন পণ্য আমদানি করতে হবে, কোন পণ্যের দাম কত হবে এবং ব্যবসায়ীরা কি পরিমান ব্যবসা করবে তা নির্ধারণে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। সেক্ষেত্রে, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনগুলো হেল্পিংহ্যান্ড হিসেবে সহায়তা করতে পারে। এভাবে প্রতিটি সেক্টরের পেশাজীবী সংগঠনগুলো সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে পারে। আবার সরকার ইচ্ছে করলে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করতে পারে। এতে সরকার প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে কর নির্ধারণ করা হবে বা কোন পণ্যে কর নির্ধারণ করা হবে না তা সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়। কোন পণ্যে কর ছাড় দিলে জনগণ উপকৃত হবে তা সরকার বুঝতে পারে।

জি এম কাদের আরও বলেন, এখন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্বেও দলীয়করণ করা হচ্ছে। দলের প্রতি আনুগত্য ভুলে পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের আলোচনা করতে হবে সরকারের সঙ্গে। সকল পেশাজীবী সংগঠন তৈরি করা হয় জনগণের কল্যাণের জন্য। পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা নিরপেক্ষ ভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না। কারণ, সরকার সকল পেশাজীবী সংগঠন দলীয়কণের মাধ্যমে নষ্ট করেছে। এখন সরকার যা বলছে, পেশাজীবী সংগঠনগুলো ইয়েস স্যার বলছে। জনগণের কথা চিন্তা না করে সরকারকে সমর্থন দিতেই ব্যস্ত হয়ে থাকে। অথচ, সরকারকে সঠিক পথে রাখতেই এই সংগঠনগুলো সৃষ্টি হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাজার অস্থির, নিত্যপণ্যের অভাব, ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফা করছে কিন্তু সরকার তা সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সবাই সরকারের পক্ষে কথা বলেন, সবাই ইয়েস স্যার বলতেই ব্যস্ত। এবার, এফবিসিসিআই নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এটাকে সরকারের স্বার্থেই সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দেওয়া উচিত।

এসময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেছে, আগামী দিনের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি গৌরবোজ্জল ভূমিকা রাখবে। জাতীয় পার্টির পথচলা কেউ বাঁধাগ্রস্ত করতে পারবে না। জাতীয় পার্টি জি এম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে।

জাতীয় পাটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান সালমা হোসেন এ্যশ এফবিসিসিআই’র পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, চেয়ারম্যানে উপদেষ্টা মো. সেলিম উদ্দিন, মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস-চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক -২ এম এ রাজ্জাক খান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক সুজন দে, মাশুকুর রহমান, মীর সামসুল আলম লিপ্টন, সাহনাজ পারভীন, কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল আজম মুকুলসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *