সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষের নেমপ্লেট খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে। এসময় বারের সম্পাদকের কার্যালয়ের জানালা ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আজ দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনের সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষের সামনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা পাশাপাশি অবস্থান নেন। একপর্যায়ে সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এর আগে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাযইদা রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ফরমায়েশি রায় দেওয়া হয়েছে। মামলা, হামলা, গুম, খুন করে চলমান আন্দোলন থামানো যাবে না।’
সংবাদ সম্মেলন চলাকালে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা মিছিল করছিলেন। তখন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা পাল্টা মিছিল করেন। পরে তারা ওই কক্ষ থেকে বের হয়ে বাইরে গিয়ে স্লোগান দেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। একপার্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় ভাঙচুরও চালানো হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে আদালত তারেক রহমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তারেককে ৩ কোটি টাকা ও জুবাইদা ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ জুলাই মামলাটির যুক্তিতর্কে শুনানি শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন একই আদালত। মামলার আসামি তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান বিদেশে অবস্থান করছেন। তারা বিচারের মুখোমুখি না হওয়ায় তাদের পক্ষে আইনজীবীরা আইনি লড়াই করতে পারেননি।