গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার সহযোগীদের ওপর হামলা করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এ ঘটনা ঘটে। এতে নুরসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। তাদের বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নুর ছাড়া আহতদের মধ্যে ১১ জনকে ঢামেকে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আব্দুর জাহের (৩০), ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা মেহেদী হাসান (২৩), রাকিব (২৫), তোফায়েল আহমেদ (২৫), মো. রাকিব (২৮), সাব্বির (২৫), সাদ (২৩), তুহিন (২৫), ইউসুফ (২৩), আকাশ (২২) ও পথচারী কামরুজ্জামান (৩৫)।
জানা গেছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর হামলা-মামলা, জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ও হয়রানি, মাদ্রাসাছাত্র হাফেজ রেজাউল হত্যা ও বুয়েটের ছাত্রদের আটকের প্রতিবাদে আজ বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। এই কর্মসূচির বিপরীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি ডাক দেয় ছাত্রলীগ। পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নুররা এলে হামলার ঘটনা ঘটে।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাঁড়াতেই দেয়নি। রাজু ভাস্কর্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত আমাদের সময়কে বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন করার সময় নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসে ঢোকে। তারা সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের বিপরীতে দাঁড়িয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। তখন দুপক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে নুরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এখানে ছাত্রলীগের কোনোভাবে সম্পৃক্ততা নেই।