বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার রায় আজ বুধবার বিকেল ৩টায় ঘোষণা করা হবে। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।
এদিকে মামলার রায় উপলক্ষে সকাল থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এ সময় তাদের অনেকের মাথায়, মুখে কালো কাপড় ও হাতে কালো পতাকা দেখা গেছে।
তারেক-জোবাইদার রায়কে ‘ফরমায়েশি রায়’ উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানান বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। সেই সঙ্গে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান আইনজীবীরা।
এদিকে রায়কে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আদালতের প্রবেশের মুখে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে। সকাল থেকেই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, এই মামলায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আর সম্পদের তথ্য অর্জন ও গোপনে সহযোগিতা করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তবে তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।