এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে রীতিমতো যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। শিক্ষার্থী তো বটেই, চিন্তার ভাঁজ পড়ে অভিভাবকদের কপালেও। ভর্তি নিয়ে এত হই-হুল্লোড়ের পর দেখা যায় কতিপয় কলেজে শিক্ষার্থী শূন্যতা। কোথাও কোথাও অনুমোদিত আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়নি পঞ্চাশ শতাংশ শিক্ষার্থীও। শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তা বলছেন, এবারও ব্যতিক্রম হবে না। ভালো কলেজগুলোয় বাড়বে প্রতিযোগিতা। আর অপেক্ষাকৃত মানহীন কলেজগুলোয় শিক্ষার্থী শূন্যতায় আসন থাকবে ফাঁকা।
গত শুক্রবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬ লাখ ৪১ হাজার ১৪০ জন। অন্যদিকে একাদশ শ্রেণিতে আসন সংখ্যা ২৪ লাখ ৪০ হাজার ২৪৯টি। সেই হিসাবে সাত লাখ ৯৯ হাজার ১০৯টি আসন খালি থেকে যাবে। মূলত নামিদামি কলেজের আসন পেতে ভর্তির মূল লড়াইটা হবে। অন্যবারের মতো এবারও পুরো ভর্তি প্রক্রিয়া হবে অনলাইনে। ভর্তির নিয়মাবলি ও কোটাসহ অন্যান্য শর্ত চূড়ান্ত করে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালা শিগগির জারি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) হিসাবে দেখা গেছে, সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮ হাজার ৮৬৪টি। এর মধ্যে ‘মানসম্মত’ কলেজের সংখ্যা দেড় থেকে ২শ। এসব কলেজে আসন সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।
এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। অর্থাৎ এদের অনেকে ভালো মানের কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন না।
ব্যানবেইসের হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৭০টি, রংপুর বিভাগে ২৯, বরিশাল বিভাগে ১২, রাজশাহী বিভাগে ৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭, খুলনা বিভাগে ১১ এবং সিলেট বিভাগে ২২টি মোটামুটি মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো কলেজে নিজ প্রতিষ্ঠানের জিপিএ ৫ পাওয়া সব শিক্ষার্থীর ভর্তির সুযোগ মিলবে না।
আবার রাজধানীতে ১৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণি রয়েছে। এসব কলেজে আসন আছে ৪৩ হাজার ৫১৯টি। এর মধ্যে ভালো মানের কলেজ ২০ থেকে ২২টি, যেখানে আসন ২০ হাজারের মতো।