রাজধানীর ধোলাইখালে অবস্থান কর্মসূচির সময় আজ শনিবার বেলা ১১টায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দলটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ সময় পুলিশের হামলায় আহত বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে আবদুস সালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা আজ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। আমরা পুলিশকে বারবার বলেছি, আমরা নিরপেক্ষভাবে এখানে বসব। আমরা কোনো সন্ত্রাসের জন্য এখানে আসিনি। আমরা একটা দাবি নিয়ে এসেছি। আমরা চাই নির্বাচনটা একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হোক, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হোক, এটা রাষ্ট্রের বিধিবিধান। কারণ অতীতের যে নির্বাচনগুলো হয়েছে সেগুলো ছিল প্রহসনের, মধ্যরাতের নির্বাচন। আমরা একটা অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেমেছি।’
ছবি: আমাদের সময়
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা এখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে দাঁড়িয়েছিলাম। এর মধ্যে শুধু পুলিশ বাহিনী না, অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা আমাদের ওপর বেপরোয়াভাবে হামলা করে, গুলি করে, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। আমি নিজেও আহত হয়েছি। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমি সাংবাদিক ভাইদের মধ্য দিয়ে বলতে চাই, তারেক রহমানের মতো একজন দেশপ্রেমিক রয়েছে। আসুন, আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি।’
এদিকে সংঘর্ষে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী। তিনি জানান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যখন রাস্তায় পড়ে যান, তখন পুলিশ তাকে লাঠি দিয়ে ব্যাপক আঘাত করেছে। এরপর তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকার প্রবেশমুখ গাবতলীর অবস্থান কর্মসূচি থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে ভ্যানে করে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গেছে, গাবতলীর অবস্থান কর্মসূচি থেকে পুলিশ প্রায় ৩০ মিনিট ধরে আমানউল্লাহ আমানকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের টানা-হেঁচড়ার এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে সড়কে পড়ে যান তিনি। তখন তাকে ভ্যানে করে নিয়ে যায় পুলিশ।