সিরিজ হার আটকাতে ইংল্যান্ড যে জোরাল চেষ্টা করবে, তা অনুমেয়ই ছিল। হলোই তাই, ছেড়ে কথা বলল না তারাও৷ বেশিদূর এগুতে দিলো না অস্ট্রেলিয়াকে। শুক্রবার লন্ডন টেস্টের প্রথম ইনিংস থেকে সফরকারীরা মাত্র ১২ রানের লিড পেয়েছে। তিন শ’ পেরোয়নি অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহও।
বোলিং-বান্ধব পিচ তা জানা ছিল। অস্ট্রেলিয়া বল হাতে তার সুবিধাও নিয়েছিল। পাঁচ-পাঁচটি ক্যাচ মিস করলেও ইংল্যান্ডকে ২৮৩ রানে আটকে ফেলে তারা। তবে বেশি দূর দৌড়াতে পারেনি ক্যাঙ্গারুরাও। ১ উইকেটে ৬১ রানে প্রথম দিন শেষ করা অস্ট্রেলিয়া থেমেছে ২৯৫ রানে। ৭১ রানের ইনিংস খেলেন স্টিভেন স্মিথ।
সংখ্যা বিবেচনায় স্মিথের ইনিংসটা খুব বড় মনে না হলেও, অস্ট্রেলিয়ার জন্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৮৫ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলটাকে বলা যায় একাই টেনেছেন তিনি। তবে বড় অবদান আছে প্যাট কামিন্স ও টড মারফির। কামিন্স ৩৬ ও মারফি খেলেন ৩৪ রানের ইনিংস। যা অস্ট্রেলিয়াকে লিড ভাঙতে সহায়তা করেছে।
৬১ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়া ৯১ রানে হারায় দিনের প্রথম ও সব মিলিয়ে দ্বিতীয় উইকেট৷ ৮২ বল খেলে লাবুশানে ফেরেন মাত্র ৯ রান করে! এরপরই ভাঙন শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের। খুব চেষ্টা করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি উসমান খাজা, ফেরেন ১৫৭ বলে ৪৭ রান করে।
এরপর দ্রুতই বিদায় নিয়েছেন ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল স্টার্ক। যাদের মাঝে দুই অংকের ঘরে যেতে পারেন কেবল মার্শ, করেন মাত্ত ১৬ রান। পরপরই ফিরতে পারতেন স্মিথও৷ তবে চারে নামা স্মিথ ৪৩ রানে জীবন পান। বেয়ারস্টো ব্যর্থতায় বেঁচে যান এই ব্যাটার। যা পরে ইংল্যান্ডের জন্য হয়েছে গলার কাঁটা।
অধিনায়ক কামিন্সকে সঙ্গে নিয়ে ৫৪ রান যোগ করেন তিনি। তুলে নেন অর্ধশতকও। তবে ৭১ রানেই থামতে হয় তাকে। ২৩৯ রানের মাথায় অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। স্মিথের বিদায়ের পর বাকি কাজটা সেরেছেন প্যাট কামিন্স ও টড মারফি জুটি। ৪৯ রান যোগ করেন দুজনে মিলে। এই জুটিতেই লিড ভাঙে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হলে আম্পায়ারও দিন শেষের ইশারা দেন। ফলে দ্বিতীয় দিন ইংল্যান্ডের আর মাঠে নামা হয়নি। আজ তৃতীয় দিন সকালে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করবে স্বাগতিকরা।