রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশের আগের দিন নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুল পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কার্যালয়ের পাশে রাস্তায় দুটি জলকামান ও একটি রায়ট কার প্রস্তুত রেখেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আজ বুধবার সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত হতে থাকেন। বিকেলেও তাদের অনেকে সেখানে ভিড় করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের সরাসরি বক্তব্যও প্রচার হয়। কিন্তু সন্ধ্যায় ভিন্ন চিত্র ছিল কার্যালয়ের সামনে। সেখানে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশের জলকামান ও রায়ট কারও দেখা যায়।
বিএনপি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশের আগে কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা যেন ভিড় না করেন, এমন নির্দেশনা আগেই থেকেই তাদের দেওয়া ছিল। কিন্তু এরপরও অনেক নেতাকর্মী আজ সকাল থেকেই কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি দেখে নেতাকর্মীদের সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে। এরপরই বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় থেকে চলে যান।
বিকেলে দলটির স্থায়ী কমিটির জরুরি সভা শেষ করেই মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষনেতারাও কার্যালয় ত্যাগ করেন। তবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দপ্তরের কয়েকজন নেতা উপস্থিত কার্যালয়ে রয়েছেন।
জানা গেছে, আগামীকাল রাজধানীতে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা আগেই দিয়েছে বিএনপি। সমাবেশের জন্য দলীয় কার্যালয় নয়াপল্টনের সামনে অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দিয়েছিল তারা। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কিংবা নয়াপল্টনে বিএনপিকে এই মহাসমাবেশের অনুমতি দেবে না বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
আগামীকাল রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপিকে মহাসমাবেশ করার পরামর্শ দিয়েছেন ডিএমপি খন্দকার গোলাম ফারুক। তবে আজ রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বছেলেন, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে আগামী ২৮ জুলাই শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন বেলা ২টায় নয়াপল্টনে পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিচ্ছে। আমরা আশা করি, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চলমান গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আয়োজিত এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে সরকার কিংবা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান কোনো বাধার সৃষ্টি করবে না।’