ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে গেছেন ঢাকা-১৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যান।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের হিরো আলম বলেন, ‘যে আসামিরা আমার ওপর মেরেছে, তাদেরকে এমন ব্যবস্থা করবেন, যাতে কোনো দিন কারও গায়ে হাত দিতে না পারে। তাদেরকে এমন শাস্তি প্রদান করবেন, যাতে আর কোনো দিন কোনো মায়ের বুক নির্বাচন নিয়ে না খালি হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমার কথা, আমাকে আপনার পছন্দ না হলে ভোট দিয়েন না, আমাকে পছন্দ না হলে এড়িয়ে যান, কিন্তু মারার অধিকার আপনাদের দেওয়া হয়নি।’
হামলার দিনের কথা বলতে গিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, সেদিন আমাকে যেহারে মেরেছে, এক ওপরওয়ালার জন্য আজ আমি বেঁচে আছি। মারার পরে আমি মাটিতে পড়ে গেছি। মাটিতে পড়ার পরও মার দিয়েছে।’
হিরো আলম বলেন, ‘আমার একটা জিনিস দুঃখ লাগছে, যখন মারে তখন দৌড়ে তাদের (পুলিশ) কাছে গিয়েছিলাম। তারা কিন্তু গাড়ি থেকে নামেনি। ডিবিকে বলব, তদন্ত করার জন্য তারা কেন এল না। আর যে পুলিশগুলো ভিতরে ছিল আমাকে মারার পর সাংবাদিকরা বলেছিল, “আলমকে মারছে, আপনারা তার কাছে যান।” তারা কার নির্দেশে কেন্দ্র থেকে বের হলো না, সেটা শুনবেন। আর আমাকে মারার পেছনে তারা কেন সহযোগিতা করল।’
সাংবাদিকরা জানতে চান, এভাবে হামলার পর আপনার কি মনে হয়, ক্ষমতাসীনদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে? জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘না, এমন নির্বাচন হলে… যেহেতু কোনো দলই নির্বাচনে আসছে না। সাধারণ মানুষ মনে করেছিল, স্বতন্ত্র প্রার্থী আমরা হয়তো নির্বাচন করব, তারাও আর নির্বাচনে আসবে না। কেননা, একদিকে মারও খাচ্ছে, টাকা-পয়সা যাচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন বিকেল সোয়া ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে তিনি দুই দফায় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।