উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আজ শুক্রবার সকালে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪৭ সেন্টিমিটার, যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটারের চেয়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, পানি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় নদী ঘেঁষা জনবসতির মানুষজন আতঙ্কে রয়েছে। এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। রাত ৮টায় পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকালে পানির প্রবাহ ৫ সেন্টিমিটার কমে। এদিকে পানির গতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ভারত অংশের দোমহনি ও মেখলিগঞ্জে তিস্তায় পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় সেখানে হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে। সেই পানি হু হু করে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকে। এর ফলে, সন্ধ্যা থেকে তিস্তার পানি বাড়ছে। এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি চরের মানুষজনের বসত বাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন ওইসব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। তিস্তার পানি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় ওই সব এলাকার মানুষজন চরম আতঙ্কে রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদ দৌলা বলেন, উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিকেলের পর থেকে হু হু করে বাড়তে থাকায় নদী তীরবর্তী মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সর্তক রয়েছে।