২৩ শর্তে আওয়ামী লীগ-বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


রাজধানীতে একই দিনে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আগামীকাল বুধবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। আর দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে ‘শান্তি সমাবেশ’ করবে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ-উত্তর) আওয়ামী লীগ।

আজ মঙ্গলবার দুই দলকেই ২৩ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজকে পৃথক চিঠিতে ওই শর্তের কথা জানায় ডিএমপি।

সমাবেশের ২৩ শর্ত

১. অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখ করা শর্তগুলো যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমোদিত স্থানেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

৫. স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের অভ্যন্তরে ও চারদিকে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।

৬. সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. সমাবেশস্থলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৮. সীমিত আকারে মাইক বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, অনুমোদিত স্থানের বাইরে ব্যবহার করা যাবে না।

৯. অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর ব্যবহার করা যাবে না।

১০. অনুমোদিত স্থানের বাইরে, রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।

১১. আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক ব্যবহার করা যাবে না।

১২. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বা বক্তব্য দেওয়া যাবে না।

১৩. সমাবেশের কার্যক্রম ছাড়া মঞ্চকে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

১৪. সমাবেশ শুরুর ২ ঘণ্টা সমাবেশস্থলে সমবেত হওয়া যাবে।

১৫. অনুমোদিত সময়ের মধ্যেই সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

১৬. মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না।

১৭. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়—এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

১৮. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেওয়া যাবে না।

১৯. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য দেওয়া বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

২০. লাঠি-সোটা, ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না।

২১. আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোন বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।

২২. এসব শর্ত যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

২৩. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া এই অনুমতির আদেশ বাতিল করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *