টাঙ্গাইলের নদীগুলোয় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নৌকা তৈরির ধুম পড়েছে। জেলার মধুপুর ব্যতীত ১১টি উপজেলার ৩২টি হাটে এখন তৈরি নৌকা বিক্রি হচ্ছে। ব্যস্ত সময় পাড় করছেন নৌকা তৈরির মৌসুমি কাঠমিস্ত্রিরা। এখন প্রায় প্রত্যেক এলাকার বড় রাস্তা পাকা করা হয়েছে। ফলে দূরের যাত্রার জন্য কেউ বড় নৌকা তৈরি করে না। বর্ষায় এ পাড়া থেকে ওই পাড়ায় যাতায়াতের জন্য ছোট নৌকার প্রয়োজন হয়। তাই বড় নৌকা তেমন তৈরি হয় নাÑ ছোট নৌকার কদর বেশি।
একটি ছোট নৌকা তৈরি করতে ২-৩ দিন সময় লাগে। তৈরিতে খরচ হয় ৮ থেকে ১৮ হাজার টাকা। হাটে উঠালে একটি ছোট নৌকা ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। নৌকা তৈরির কারিগররা চুক্তিতে প্রতিদিন ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা মজুরি পান। বর্ষার সময় এলে আয়-রোজগার ভালোই হয়। শুকনো মৌসুমে সংসারের টুকিটাকি আর কৃষিকাজ করেন।
টাঙ্গাইলে নৌকা বিক্রির উল্লেখযোগ্য হাটগুলো হলোÑ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরপৌলি, মাহমুদনগর, ছিলিমপুর ও ওমরপুর। নাগরপুরের গয়হাটা ও চরসলিমাবাদ। মির্জাপুরের বরাটি, ছাওয়ালি মহেড়া ও চাকলেশ্বর। কালিহাতীর রামপুর, আউলিয়াবাদ ও কস্তুরিপাড়া। বাসাইলের মিরিকপুর, কাউলজানী, রাশড়া করিম বাজার ও ফুলকী। ঘাটাইলে কদমতলী ও হামিদপুর। ধনবাড়ীর পাইস্কা ও কেরামজানী। গোপালপুরের মোহনপুর, নলীন বাজার, নবগ্রাম ও চাতুটিয়া। ভূঞাপুরের ফলদা, গোবিন্দাসী, কুঠিবয়ড়া ও অর্জুনা। সখীপুরের দাড়িয়াপুর ও বহেড়াতৈল এবং দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি, এলাসিন ও ফাজিলহাটি।
ষমো. শামীম আল মামুন, টাঙ্গাইল