সুইডেনে কোরআন পোড়ানো: ক্ষোভে ফুঁসছে মুসলিম দেশগুলো

Slider সারাবিশ্ব


ঈদের দিনে গত বুধবার সুইডেনের স্টকহোম শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় মুসলিম দেশগুলো ইতিমধ্যে কড়া নিন্দা জানিয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত অহংকারী পশ্চিমাদের শিখিয়ে দেবো মুসলমানদের অপমান করা মুক্তচিন্তার স্বাধীনতা নয়।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এদিন আরও বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন ও ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা সম্ভাব্য সবচেয়ে জোরালোভাবে আমাদের প্রতিক্রিয়া দেখাব।’

এদিকে কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের সুইডিশ দূতাবাসে এক দল লোকের জোর করে ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের একজন ক্ষমতাধর ধর্মীয় নেতা মোকতাদা আল-সদর এর প্রতিবাদ জানানোর ডাক দেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজধানী বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসের সামনে একদল লোক জড়ো হয়।
বাগদাদে বিক্ষোভ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে বেশ কিছু লোককে ভবনটির প্রাঙ্গণে হাঁটতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে থাকা এএফপির একজন ফটোসাংবাদিক বলেছেন, কিছু লোক দূতাবাস ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে অবস্থান করে। পরে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী আসার পর তারা সেখান থেকে চলে যায়।

এরই মধ্যে কোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ইরান, মিশর ও সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।

কোরআন অবমাননা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি। তিনি বলেন, পবিত্র কোরআন অবমাননার অর্থ হচ্ছে গোটা মানবতা ও ইসলামি মূল্যবোধের অবমাননা। মুসলিম বিশ্ব এটা মেনে নেবে না।

মরক্কো ও জর্ডান এ ঘটনার প্রতিবাদে স্টকহোম থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরে আসতে বলেছে। মরক্কোর রাবাতে সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে তলবও করা হয়। মিশর বলেছে, যখন মুসলিমরা ঈদুল আজহা পালন করছে তখন এই লজ্জাজনক ঘটনা বিশেষভাবে উস্কানিমূলক।
সুইডেনের স্টকহোমে কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পুলিশি পদক্ষেপ

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার স্টকহোম শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে কোরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এক ব্যক্তি। তার নাম সালওয়ান মোমিকা এবং সে সুইডেনে বসবাসরত একজন ইরাকি।

এ নিয়ে সুইডেনের কর্তৃপক্ষ বলছে, মোমিকাকে দেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত আইনের আওতায় মসজিদের বাইরে প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটার পর পুলিশ বলছে, তারা এখন ঘৃণা উস্কে দেবার দায়ে ঘটনাটির তদন্ত করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *