দীর্ঘ ১৪ বছর পর সাফের সেমিফাইনাল খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিপরীতে টাইগাররা সর্বশেষ ফাইনাল খেলে ছিল আরো বছর চারেক আগে, ২০০৫ সালে। অর্থাৎ প্রায় দেড়যুগ পর সাফের ফাইনাল খেলার সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে জামাল ভূইঁয়াদের।
তবে এই স্বস্তির মাঝেও অস্বস্তি আছে, সেমিতে টাইগারদের মুখোমুখি হতে হবে শক্তিশালী কুয়েতের। সহসাই যে শিরোপার লড়াইয়ে নামা হচ্ছে না তা নিশ্চিতই বলা যায়। শক্তি, সামর্থ্য কিংবা পরিসংখ্যান; সব দিক থেকেই বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে কুয়েত। চলতি আসরেও দারুণ পারফর্ম করছে তারা।
এক সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দাপুটে পদচারণা ছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতের। ফিফা র্যাংকিংয়েও একসময় বেশ দাপট ছিল তাদের।
১৯৯৮ সালের ২৪তম স্থানে উঠে এসেছিল তারা। হয়ে উঠেছিল সমীহ জাগানিয়া দল। ১৯৮০ সালে এশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় তারা, খেলেছে বিশ্বকাপও, ১৯৮২ সালে।
তবে কালের বিবর্তনে বেশ পিছিয়ে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। সেই কুয়েতের বর্তমান অবস্থান এসে ঠেঁকেছে ১৪১ এ। চলতি সাফ আসরে আমন্ত্রিত দল হিসেবে খেলছে কুয়েত। পাকিস্তান ও নেপালকে হারিয়ে এবং ভারতের বিপক্ষে ড্র করে এ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সাফের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা।
এবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কুয়েতের সম্মুখে বাংলাদেশ। ফল্ব দীর্ঘ ৩৭ বছর পর আবার কুয়েতের সঙ্গে দেখা হচ্ছে টাইগারদের। এর আগে দুইবার দেখা হয়েছিল এই দুই দেশের। দু’বারই হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হয় ১৯৭৩ সালে, ওই বছরই কুয়েতের সঙ্গে দেখা হয় মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপে। সেবার ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।এরপর সাক্ষাৎ হয় ১৯৮৬ সালে, সিউল এশিয়ান গেমসে। এবার বাংলাদেশের হার ৪-০ গোলে।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শনিবার বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে। ২০০৯ সালের পর প্রথমবার সেমিফাইনাল খেলবে টাইগাররা।