ঈদ মানেই উৎসব, প্রিয়জনদের সঙ্গে একাত্ব হওয়ার দিন। ঈদের দিন এমনিই বাড়িতে বাড়িতে নানা পদের রান্নার আয়োজন থাকে। আর কোরবানির ঈদে রান্নার আয়োজন আরও বেশি হয়। বিরিয়ানি, কাবাব, চিকেন টিক্কা, কোরমাসহ গরু-খাসির নানা পদ থাকে ঈদ আয়োজনে। ঈদে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়ার ফলে অনেকেরই ক্যালরি বেড়ে যায়। এতে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
ঈদের পর ফিট থাকতে কী করা উচিত তা জানিয়েছেন ভারতীয় সিনিয়র ফিজিওথেরাপিস্ট নেহা গিল।
ক্যালরি ঝরানোর নাচ: জুম্বার মতো নাচ ক্যালরি ঝরাতে দারুণ সহায়ক। যেকোন উৎসবে বেশি খাওয়াদাওয়া হলে অতিরিক্ত ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে এই নাচ।
হাঁটাচলা করা: নিজেকে সুস্থ রাখতে হাঁটাচলার বিকল্প নেই। বসার পরিবর্তে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলতে পারেন, অথবা লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করতে পারেন। দিনে কয় কদম হাঁটলেন তার হিসেব রাখার জন্য স্টপওয়াচ বা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করুন।
সাইকেল চালানো বা দৌড়ানো: ক্যালরি ঝরাতে সাইকেল চালানো বা দৌড়ানোর মতো কিছু কাজ করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।
সাঁতার কাটা : সাঁতারও দুর্দান্ত ব্যায়াম। ঈদে খাওয়াদাওয়া বেশি হলে ক্যালরি ঝরাতে সাঁতার বেছে নিতে পারেন। গবেষণা বলছে, এক ঘণ্টা সাইকেল চালানো বা হাঁটার চেয়ে সাঁতার কাটা বেশি ক্যালরি ঝরায়।
ঘরে ব্যায়াম: ক্যালরি ঝরাতে ঘরেই বিভিন্ন ব্যায়াম যেমন-ওজন তোলা, স্ট্রেচিং করতে পারেন।
খাওয়ার পর হাঁটুন: খাবারের পরে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। হাঁটা ক্যালরি ঝরাতে সহায়তা করে। এছাড়া ক্যালরি ঝরাত জাম্পিং জ্যাক, প্ল্যাঙ্ক, ক্রাঞ্চ বা স্কোয়াটের মতো ব্যায়ামও বেছে নিতে পারেন।
যোগব্যায়াম: যোগব্যায়াম সব বয়সীদের জন্য উপকারী। যোগব্যায়াম মন এবং শরীরের সংযোগের জন্য খুব ভালো। এছাড়াও, এর জন্য কোনও সরঞ্জামের প্রয়োজন নেই। মেদ ঝরাতেও যোগব্যায়াম বেশ কার্যকর।