ইসলাম ধর্মে কোরবানির মাংস বিক্রি করার কোনো বিধান নেই। তারপরও প্রতি বছরই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় রাস্তায় বিক্রি করতে দেখা যায় কোরবানির মাংস। যেখানে বাজারের দামের তুলনায় অনেক কম দামেই পাওয়া যায় ফ্রেশ মাংস।
আজ বৃহস্পতিবার কারওয়ানবাজার, লালবাগ, মালিবাগ, মগবাজার এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। সেখানে অনেকেই মেলার মতো কোরবানির মাংসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। শুধু বিক্রেতাই নয়, ক্রেতাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো।
মগবাজারে মাংস ব্যবসায়ী ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘অনেকেই আছেন কোরবানি দিতে পারেন না। আবার টাকার অভাবে অধিক দাম দিয়ে মাংস কিনতে পারেন না। তারা চাইলে আমাদের কাছ থেকে অনেক কম দামে ফ্রেশ মাংস কিনতে পারেন। এ জন্যই আমরা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশুর মাংস, মাথা, পা এসব সংগ্রহ করে বিক্রি করি ‘
কেমন দাম মাংসের জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমনে গরুর মাংসের কেজি ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা। আমরা এসব মাংস সংগ্রহ করে বিক্রি করি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়।’
আরেক বিক্রেতা হোসেন আলী বলেন, অনেকেরই কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই। বাজার থেকেও মাংস কিনতে পারে না, তারা আমাদের এখান থেকে মাংস কেনেন। মোটামুটি কমদামে এখান থেকে কোরবানির তাজা মাংস কেনা যায়।’
এ সময় কথা হয় মাংস কিনতে আসা ক্রেতা আজমল শেখের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নাই ভাই। কিন্তু মাংস খেতেতো মন চায়। কারো কাছেতো আর চাইতে পারি না। তাই কমদামে এখানে পাচ্ছি তাই দুই কেজি কিনে নিলাম।’
কথা হয় ক্রেতা মোস্তফা কামালের সঙ্গে। তিনি বলেন, এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম এখানে কমদামে মাংস বিক্রি হচ্ছে। তাই থামলাম। ভাবতেছি কিনব কিনা।
এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় পলিথিনে ভরে মাংস বিক্রির জন্য ঘুরছেন অনেকে।
বাংলামটোর এলাকায় পাঁচ কেজি মাংস নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় এমনই একজন বিক্রেতা রহমতের সঙ্গে। মাংসের দাম জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, পুরো গামলা মাংস দুই হাজার টাকা ভাই। প্রায় পাঁচ কেজি মাংস আছে।