দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকা ও চার সমুদ্রবন্দরে ঝড়ের আশঙ্কা থাকায় ৩ নম্বর সতর্কসংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও রাজশাহী এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়ার আরেকটি পূর্বাভাসে বলা হয়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর ওড়িশা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী দুদিনে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।
গতকাল সোমবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সিলেটে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কুতুবদিয়া। এদিন টেকনাফে দেশে সর্বোচ্চ ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।