উত্তরবঙ্গের পরিবহনগুলো ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার লেনের সুবিধাভোগ করলেও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে ঘটছে বিপত্তি। প্রশাসন দুইলেনের এই সড়ক একলেন করলেও রাতভর যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রী ও চালকদের। তবে সকাল হওয়ার পর থেকে স্বাভাবিক হতে থাকে ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কের যান চলাচল।
গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপার থেকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। এর আগে, গত সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৫টা পর্যন্ত এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার অংশে যানজট ছিল।
সেতু কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর পরিবহন দুর্ঘটনা, যানবাহন হঠাৎ বিকল হয়ে পড়া ও একলেন সড়কে আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতার কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সেতুতে পরিবহনের চাপ ও যানজটের কারণে টোল আদায় বন্ধ ছিল।
জানা গেছে, সোমবার রাত ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর পরপর দুবার একটি পরিবহনের সঙ্গে আরেকটি পরিবহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া একটি পরিবহন বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে রাত ৩টার পর ১০ থেকে ১২ মিনিট, ৪টার পর প্রায় এক ঘণ্টা ও ৫টা ৩০ মিনিট থেকে ৫টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। মাঝে মাঝে সেতুতে টোল আদায় বন্ধ হওয়ার কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এদিকে, মহাসড়কের পরিবহনগুলো ভুঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে চলাচল করায় বিভিন্ন অংশে ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই সড়কের কালিহাতী উপজেলা কুচটি হতে এলেঙ্গা রেলক্রসিং, বঙ্গবন্ধু সেতুপুর্ব গোল চত্বর হতে গোবিন্দাসী পর্যন্ত ধীরগতিতে পরিবহন চলাচল করছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হাসান বলেন, রাতে মহাসড়কে এলেঙ্গা হতে সেতুপূর্ব পর্যন্ত যানজট ছিল। সকালের দিকে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে এখনও সল্লা হতে সেতু পূর্ব পর্যন্ত পরিবহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। এরআগে, রাতে সেতুর উপর পরিবহনের দুর্ঘটনা ও টোল আদায় বন্ধের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ সড়কে দায়িত্ব পালন করছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক হবে।