মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ আয়োজনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশকে সামনে রেখে গত রোববার, ১৮ জুন বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছে বগুড়ার আয়োজক কমিটি।
দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের কেন্দ্রিয় সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেছেন, তারুণ্যের সমাবেশ বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। এই সমাবেশ তরুণদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। গত ১৫ বছর নতুন ভোটারেরা ভোট দিতে পারেনি। দেশে এখন গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলছে। আজ রোববার (১৮ জুন) বগুড়া সেন্ট্রাল হাই স্কুল মাঠে যে সমাবেশ হবে সেই সমাবেশে তারাই উপস্থিত হবেন যারা ভোট দিতে পারেনি। যারা একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠন না করার কারণে চাকরী পায়নি। বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে।এ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে জনগণের অধিকার হরণ করেছে। মানুষের উপর নির্যাতন নিপিড়ন চালানো হচ্ছে। অধিকার ভূলুন্ঠিত করা হয়েছে। চাকরী নাই, বেকারত্ব বেড়েছে কয়েক গুণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহবস্থান নষ্ট করা হয়েছে।তিনি বলেন, তেলের দাম বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, স্মরণকালের সেরা সমাবেশ হবে বগুড়ার তারুণ্যের সমাবেশ।
এই সমাবেশ সরকার বিরোধী আন্দোলনে গতি বাড়াবে।গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চলছে। নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে। যাতে সকলেই ভোট দিতে পারে। মেধা দিয়ে নয় এখন দলের পরিচয়ে চাকরী হয়। এ কারণে প্রশাসন মেধা শূন্য হয়ে যাচ্ছে। আমরা মেধাবী প্রশাসন চাই। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে টুকু বলেন, ধুনটে গায়েবী মামলা করা হয়েছে।নেতাকর্মিদের বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। নেতা কমির্ থেকে শুরু করে লাঞ্চিত বঞ্চিত মানুষ যাতে সমাবেশে না আসতে পারে তার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তারুন্যের সম্মেলন বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করে বন্ধ করা যাবে না। কোন ষড়যন্ত্র, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কেউ সমাবেশ নষ্ট করতে পারবে না।সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, বগুড়ার সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক(ভারপ্রাপ্ত) শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রিয় সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের কেন্দ্রেয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আরী আজগর তালুকদার হেনা, সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উন নবী সালাম, কেএম খায়রুল বাশার, জাহিদুল ইসলাম হেলাল, জেলা যুবদলের আহবায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছা সেবকদলের আহবায়ক রাহিবুল হাসান শুভ, সদস্য সচিব আবু হাসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিক রিগ্যান প্রমুখ।