৩২ বছর পর মুক্তি পেয়ে সরকারের কাছে দুটি দাবি জানিয়েছেন জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া। আজ রোববার কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে তিনি এ দাবি জানান।
সরকারের কাছে কোনো কিছু চাওয়ার আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শাহজাহান বলেন, আমার থাকার কোনো জায়গা নাই। কোথায় যাব তার কোনো ঠিকানা নাই। তাই সরকার যেন আমার একটা থাকার ব্যবস্থা করে দেন এবং চলার ব্যবস্থা করে দেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি ফাঁসিতেই কিছু না কিছু আবেগ তাড়িত বিষয় থাকে। কারণ আমার হাতে একজন লোক চলে যাচ্ছে। তাকে দেখা বা তার ফাঁসি দেয়া অনেক কষ্টের। আমার সঙ্গে আরও ৬ জন কাজ করেছেন।
কারাগারে ফাঁসির বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটা ফাঁসিতেই একটা আবেগ থাকে। কারণ মানুষ যত অপরাধই করুক না কেন, যখন সে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়, তখন সবারই একটু না একটু মায়া লাগে। সে মায়াটা না হয় আমি করলাম কিন্তু কোর্ট তো করবে না, আইন তো তাকে ক্ষমা করবে না।
বহু হত্যাকাণ্ডের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া এরশাদ শিকদার ও সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইকে ফাঁসিতে ঝোলান জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া। কীভাবে এরশাদ শিকদার ও বাংলা ভাইকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় এবং তাদের শেষ ইচ্ছা কী ছিল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, এরশাদ শিকদারকে ফাঁসি দেওয়ার আগে তিনি দাঁড়িয়ে একটা কথা বলেছিল, ‘আমার জীবনে আমি কোনো অন্যায় করিনি, আমার জন্য দোয়া করবেন।’
বাংলা ভাইয়ের শেষ ইচ্ছা কী ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মরার পরে যেন আমার ছবিটা না উঠানো হয়।’
শাহাজাহান ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘আমার খুব ভালো লাগছে। আমার এক বোন আছে। তাকে কখনো দেখিনি। কিন্তু ফোনে কথা হয়েছে। সে আমাকে কোনো দিন দেখতেও আসেনি।’