বাংলাদেশের রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিত সাবেক আলোচিত ছাত্রনেতা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খান মারা গেছেন। আজ শুক্রবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।
মৃত্যুর আগে তিনি তার অনুসারীদের বেশ কিছু ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো-‘আমার মৃত্যুর পর কোনো শোকসভা হবে না। শহীদ মিনারে ডিসপ্লে হবে না লাশ। যত দ্রুত সম্ভব নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আমার গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে হবে মরদেহ, যা ঢাকা থাকবে একটা কাঠের কফিনে। মায়ের একটা শাড়ি রেখে দিয়েছি। কফিনটা শাড়িতে মুড়ে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে, মায়ের কবরে।’
সিরাজুল আলম খানের স্নেহধন্য রায়হান তানভীর এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এছাড়া এই বিষয়টি মহিউদ্দিন আহমদের লেখা ‘প্রতিনায়ক: সিরাজুল আলম খান’ বইয়ে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
গত ৭ মে রাতে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা নিয়ে পান্থপথে শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি হন সিরাজুল আলম খান। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে ২০ মে তাকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এতদিন তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু দিন দিন তার শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হয়। মাঝেমধ্যে শরীরে জ্বর বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে তার অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্ট নেওয়া হয়।
৮২ বছর বয়সী এই রাজনীতিক অনেক দিন ধরে উচ্চ রক্তচাপসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।