দুদক যেন সবার সঙ্গে এটা করে: জাহাঙ্গীর

Slider বাংলার মুখোমুখি

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো শতভাগ মিথ্যা। যারা এই মিথ্যা অভিযোগ করেছে তদন্ত করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হোক।’

আজ মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে নোটিশের জবাব দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দুদক আজ যে স্বচ্ছতার সঙ্গে আমার সঙ্গে আচরণ করেছে, তারা যেন সবার সঙ্গে এটা করে, যাতে কোনো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। যারা অভিযোগ করেছে তাদের কোনো হদিস নাই। কাগজের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নাই। দুদক একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। তারা রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করে। সে হিসেবে দুদক এর আগেও আমাকে ডেকেছিল। আজও ডেকেছে। দুদক ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি এসেছি। তারা যা যা জানতে চেয়েছিলেন, আমি সবগুলোর জবাব দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘সরকার আমাকে দুটি প্রজেক্টে মাত্র ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। কিন্তু দুদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির কাল্পনিক অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ সব কাজ এখনো চলমান। অথচ লিখে দেওয়া হয়েছে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ। যত মিথ্যা, অন্যায় ও অনিয়মের কথা কাগজে লেখা হয়েছে, যেগুলোর কোনো সত্যতা নাই। দুদক বলেছে, যেহেতু আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তাই সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তাদের আমি লিখিতভাবে জবাব দিয়েছি। আমি বলেছি এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার নামে একটি মিথ্যা ও ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেখানো হয়েছে। এই ভুয়া ঘটনা কারা করেছে তার বিচার আমিও চাই। যাতে বাংলাদেশের আর কোনও নাগরিককে যেন আমার মতো হয়রান হতে না হয়।’

তিনি বলেন, ‘গাজীপুরের মানুষ আমার ওপর আগে যেমন আস্থা রেখেছেন, আমার মাকে নির্বাচিত করে সেটা আবার প্রমাণ দিয়েছেন।’

ভুয়া ব্যাংক হিসাবে টাকা অবৈধ লেনদেন, বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে জবাব দিতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।

দুদকের উপ-পরিচালক আলী আকবরের নেতৃত্বে দুটি আলাদা অনুসন্ধান টিম জাহাঙ্গীর আলমকে তলব করে। দুই টিমের অপর দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলিয়াজ হোসেন ও মো. আশিকুর রহমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *