ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার। এ সংবাদে দেশের পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে। সোমবার (৫ জুন) রাজধানীর শ্যামবাজার, কারওয়ান বাজার, কাপ্তান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জেও খোঁজ নিয়ে একই তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিন প্রতি কেজি পেঁয়াজের দর ২০ টাকা হ্রাস পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতীয় পেঁয়াজ এলে মূল্য আরও কমে যাবে। কারণ, প্রতিবেশী দেশটিতে নিত্যপণ্যটির দর নিম্নমুখী রয়েছে।
শ্যামবাজারের নবীন ট্রেডার্সের মালিক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, রোববার (৪ জুন) কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৮৫ টাকায় বিক্রি করেছি। এদিন যার দাম ৬৫ টাকা।
কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা রহিম মিয়া বলেন, এক কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৫-৬ টাকা কমেছে। শুনেছি, ভারত থেকে পণ্যটি আসছে। এ খবরে দরপতন ঘটেছে।
দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। সেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। মানভেদে তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এফ এম ট্রেডার্সের কর্ণধার মো. মহিউদ্দিন বলেন, আমদানির অনুমতির ঘোষণা আসার পর পেঁয়াজের দাম দ্রুত কমছে। তবু সেরকম ক্রেতা নেই। দর আরও কমবে বলে অনেকে কিনছেন না।
পাবনা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর থেকে পেঁয়াজ এনে খাতুনগঞ্জে আড়তে দেন বেপারিরা। তারা জানিয়েছেন, আমদানির খবরে মণে দাম কমেছে ৭০০-৮০০ টাকা। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে।
বিসমিল্লাহ বাণিজ্যালয়ের অভি জানান, আগের দিন এক কেজি পেঁয়াজ ৮৭ থেকে ৮৮ টাকায় বিক্রি করেছেন। এদিন ৭০ টাকায়ও তা করতে পারছেন না। এছাড়া কোনো আড়তে মানভেদে পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকাও বিক্রি হচ্ছে।