বর্তমান সরকারের পতনে দ্রুত চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। কর্মসূচি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে অংশ নিতে দেশবাসী ও নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, দলের মহাসচিব আগামী ২-৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
গতকাল নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ
টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের কারাদণ্ডের প্রতিবাদে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রাখেন।
প্রস্তাবিত বাজেটের কড়া সমালোচনা করে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল। পাচার করা অর্থ ফেরত আসছে দাবি করে তিনি বলেন, যারা পাচার করেছে সেই টাকা বিদেশে রাখা নিরাপদ নয় সে জন্য ফেরত আনছে। এই পাচার করা টাকা ফেরত আনলে আড়াই পারসেন্ট ইনসেনটিভ পাবেন এই সুবিধাটা তারা নিচ্ছেন। অর্থাৎ কোনোটাই ছেড়ে দিতে রাজি নয়।
সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তরই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, দেশের মানুষ জেগে উঠেছে, পালানোর পথ পাবে না আওয়ামী লীগ। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে না হয় আগামী ২-৫ দিনের মধ্যে হয়তো সরকার পতনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করবেন মহাসচিব। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রের শত্রু, দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু শেখ হাসিনা সরকারকে কীভাবে বিদায় করবেন, তা আপনারা নির্ধারণ করবেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং গ্রেপ্তার এবং জেলে পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভোট চুরির বিরুদ্ধে। আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র করতে হবে। বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম বলেন, আমান-টুকুর মতো একই মামলা থাকলেও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জেলে দিয়ে খালি মাঠে গোল দিতে চায় আওয়ামী লীগ।