লিফট কেনার জন্য পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় কর্মকর্তার তুরস্ক সফরকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশক্রমে সফরটি স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২ জুন) বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারুক হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদলের তুরস্ক যাত্রা স্থগিত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন এ সফরের সব আয়োজন বাতিল করেছেন।
এর আগে, শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় সদস্যের তুরস্কে ভ্রমণের যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু। তিনি বলেন, লিফট কিনতে বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। এটি কিনতে এখন বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। উন্নতমানের লিফট যারা সরবরাহ করেন তাদের প্রতিনিধি দেশেই রয়েছে। তাদের মাধ্যমে দেশ থেকে কেনা সম্ভব।
উপাচার্যের উদ্দেশে অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু বলেন, ভিসি বলেছেন, এই টাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারের না। তাহলে কী এই টাকা আকাশ থেকে পড়েছে। তিনি এই টাকা বিদেশ না গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ব্যয় করার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য হাফিজা খাতুন ও উপ-উপাচার্য আনোয়ার হোসেনের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে রিসিভ করেননি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জি এম আজিজুর রহমান বলেন, উপাচার্য তুরস্ক যাওয়ার বিষয়টি স্থগিতের কথা জানিয়েছেন। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।
প্রসঙ্গত, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হল, অ্যাকাডেমিক ভবনসহ পাঁচটি আধুনিক নির্মাণাধীন ভবনের জন্য ২৫টি লিফট কিনতে ৭ জুন তুরস্ক সফরে যাওয়ার কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রচারের পর পাবনাসহ সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপরই সফর স্থগিত করলো কর্তৃপক্ষ।