জনগণের রক্ত শুষে নিচ্ছে সরকার : রিজভী

Slider রাজনীতি


বর্তমান সরকার জনগণের রক্ত শুষে নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ। দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামাদলের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার।

দোয়া মাহফিলের আগে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিসের গণতন্ত্র? আগে উন্নয়ন। আসলে যারা জনগণকে ভয় পায়, তারাই এ ধরনের কথা বলে। অন্যদিকে জিয়াউর রহমান উন্নয়নের দিকে গেছেন। একইসাথে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের দিকেও গেছেন। এটাই হলো জিয়াউর রহমান।

তিনি বলেন, একটি জাতিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা, আত্মনির্ভরশীল করা এবং সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার যে প্রয়াস, তার সবই করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি মানুষকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, যা একজন বড় মাপের রাষ্ট্রনায়ক না হলে কখনোই সম্ভব নয়।

রিজভী বলেন, স্বাধীনতার পর যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তাদের দুর্নীতি, অনাচার, লুটপাট, টাকা পাচার ও রক্ষী বাহিনীর অত্যাচার উপেক্ষা করে যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতিকে একটি আত্মনির্ভরশীল জাতিতে পরিণত করিয়েছিলেন। এটা বড় মাপের রাষ্ট্রনায়ক না হলে কখনোই সম্ভবপর ছিল না।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের বাজেট নিয়ে বলার কিছু নেই। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা, স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলে যা নিয়ে লেখালেখি করে- আড়াই টাকা, তিন টাকার কলমে ১৫ ভাগ করারোপ করা হয়েছে। তাহলে এটা কার সরকার? এই যে মেগা প্রজেক্টে নেতাকর্মীদেরকে লুটপাটের সুযোগ দিয়েছেন, এর মাধ্যমে মূলত সরকার মানুষের জীবন থেকে রক্ত নিংড়ে নিচ্ছে। ভ্যাম্পায়ার যেমন রক্ত শুষে নেয়, তেমন এই সরকার মানুষের রক্ত শুষে নিচ্ছে। কারণ, বাকশালের কবর থেকে আওয়ামী লীগের পুনর্জন্ম হয়েছিল। আর তা হয়েছিল জিয়াউর রহমানের আমলে। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ফেরত দিয়েছিলেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছিল।

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতি এবং আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, এম জহির আলী, অ্যাডভোকেট দেওয়ান মাহফুজুর রহমান ফরহাদ, আবদুল্লাহিল মাসুদ, ডা. মজিবুর রহমান হাওলাদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো: শামসুল আলম ও অধ্যাপক ড. মো: নূরুল ইসলাম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *