গ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) রেজওয়ানুর রহমান। মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার।
ব্রিফিংয়ে রেজওয়ানুর রহমান জানান, গ্রামীণ টেলিকমের ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (WPPF) অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে দুদকের কাছে অভিযোগ করা হয়। পরে দুদক আইন ও বিধি মোতাবেক অনুসন্ধান করে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানসহ বোর্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে পরস্পর যোগসাজশে’ ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের সত্যতা পায়। এতে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২-এর ৪(২)(৩) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
ড. ইউনূস ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম (৫০), সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান (৬৩), পরিচালক পারভীন মাহমুদ (৬২), নাজনীন সুলতানা (৬১), মো. শাহজাহান (৬৫), নূরজাহান বেগম (৭২), এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী (৬২), অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী (৪২), অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ (৪৭), গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান (৩৯), সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান (৪৩), গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম (৪০)।
অনুসন্ধানের সময় ড. ইউনূসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে রেজওয়ানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়ম অনুযায়ী সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।