নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভাতেও থাবা বসিয়েছে আর্সেনিক। এ ক্ষেত্রে আতপ চালের তুলনায় আর্সেনিকের উপস্থিতি বেশি সেদ্ধ চালে। পাতের ভাতে এ বিপদের অশনিসংকেত দিয়ে ইতোমধ্যে গবেষণানির্ভর প্রবন্ধ বেরিয়েছে ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড পলিউশন রিসার্চ’ নামের একটি পত্রিকায়। খবর : আনন্দবাজার পত্রিকা।
গবেষক দলের সদস্য হিসেবে আছেন ভারতে ‘স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের’ গবেষক মধুরিমা জোয়ারদার, পায়েল মুখোপাধ্যায় ও অধ্যাপক তড়িৎ রায় চৌধুরী।
মূলত উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা শহরাঞ্চল এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থেকে চাল ও ভাতের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন গবেষকরা। তার ভিত্তিতেই তারা এই বিপদের বার্তা দিয়েছেন। ওই গবেষণাপত্রে বিপদবার্তার সঙ্গে বিপদ এড়ানোর সম্ভাব্য পথও বাতলে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে যে আরও নিবিড় গবেষণার প্রয়োজন আছে, তা-ও জানিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা গাইঘাটার খাবার পানিতে আর্সেনিকের পরিমাণ ও প্রকোপ মারাত্মক। কলকাতার একাংশে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক আছে; তবে এই শহরের খাবার পানি মোটামুটি নিরাপদ। পিংলা তুলনায় নিরাপদ। তাই এ তিনটি জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, আতপ চালের তুলনায় আর্সেনিকের উপস্থিতি বেশি সেদ্ধ চালে। বাঙালির প্রাত্যহিক আহারে সেদ্ধ চালের ব্যবহারই বেশি। তুলনামূলক বিচারে দেখা গেছে, ভাতে অনেক ক্ষেত্রে সহনমাত্রার থেকে বেশি থাকছে আর্সেনিক।